পোস্টগুলি

জুন, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সম্পাদকীয়ঃ প্রথম বর্ষ। ২৯ সংখ্যা। জুন ২৫, ২০২২

ছবি
সম্পাদকীয়            হাস্যকর পরীক্ষা-পদ্ধতি   উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজগুলিতে স্নাতক স্তরের পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে যা চলছে তা বেদনাদায়ক। কোন পরীক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটি নির্ধারণ করতে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেওয়াটা হাস্যকর। পরীক্ষার্থীরা কখনোই পরীক্ষার নীতি নির্ধারক নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পরিচালন কমিটি-র ব্যর্থতা এই ক্ষেত্রে প্রকট। এই ব্যর্থতার কারণ নির্ণয় করা দরকার। এমন নয় যে পরীক্ষার্থীরা অনলাইন পরীক্ষার দাবীতে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ঘেরাও করে ভিসি-কে আটকে রেখেছিল। এই ঘটনা যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটেছিল তারা কিন্তু পরীক্ষার্থীদের দাবী মেনে নেয় নি। বস্তুতঃ রাজ্যের আর কোনও বিশ্ববিদ্যালয় এই ‘অনলাইন পরীক্ষার’ দাবী মেনে নিয়েছে বলে জানা নেই। যদি সরকারের তরফ থেকে চাপ থাকত তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি অনলাইন পরীক্ষার দিকেই ঝুঁকত, কিন্তু বাস্তবে তা হয় নি। সুতরাং সরকারের চাপে বা ইচ্ছায় কিংবা আন্দোলনের চাপে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় একটি হাস্যকর ‘অনলাইন পরীক্ষা’ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অনুমান করা যায় কোন অজ্ঞাত চাপের কাছে নতি স্বীকার করে...

প্রচ্ছদঃ সান্ধ্য জলপাইগুড়ি। প্রথম বর্ষ। ২৯ সংখ্যা। ২৫ জুন ২০২২

ছবি
  প্রচ্ছদঃ অমিতেশ চন্দ   সংখ্যাটি পড়ুন পুরোন সংখ্যা, আর্কাইভ ইত্যাদি

টুক করে ঘুরে আসিঃ পাথরঝোরা চা বাগান

ছবি
  টুক করে ঘুরে আসি   পাথরঝোড়া চা বাগান সত্যম ভট্টাচার্য   আমাদের অনুভবেরা একটু চালিয়াৎ হয় ঠিকই কিন্তু তারা যে অবসময় আমাদের ভুলপথে চালিত করে এমনটা নয়। অনেক সময়ই তারা আমাদের সঠিক খবর দিয়ে ঠিক পথেই এগিয়ে দেয়। আর এভাবেই একদিন পৌঁছে গেলাম পাথরঝোড়া চা বাগানে। ডুয়ার্সের আনাচেকানাচে ঘুরে বেড়াচ্ছি কম দিন নয় এবং তা নিয়ে সত্যিই সামান্য শ্লাঘা অনুভব করি। কিন্তু যেদিন প্রথম পাথরঝোড়া চা বাগানে গেলাম, সত্যিই কবীর সুমনের গানের লাইনের সাথে মিলিয়ে মনে হল-কতটুকু আর দেখতে পেরেছি? যাই হোক, বাড়ি থেকে বেশী দূরে নয়। ওদলাবাড়ি চৌমাথা। জলপাইগুড়ির দিক থেকে গেলে পেরুতে হবে মূল রাস্তা। সে ডানদিকে   মালবাজারের দিক থেকে এসে বামদিকে সেবকের দিকে চলে গিয়েছে। সে রাস্তা পেরিয়ে ট্রেন লাইনের নীচ দিয়ে বেরিয়ে মানাবাড়ি তুরিবাড়ি ক্রস করে আমরা যখন সেই সবুজ ঢেউ খেলানো চা বাগানের মধ্যে গিয়ে পড়লাম, সে যেন আমাদের বললো-এতদিন কোথায় ছিলেন? দিনটাও ছিল ঠিক তেমনই। চারিদিকে রোদ ঝকঝক করছে। দৃশ্যমানতাও বেশ ভালো সেদিন। গাজলডোবা পেরিয়ে যখন ওদলাবাড়ির দিকে এগুচ্ছি কাঞ্চনজঙ্ঘা তখন তিস্তার জলে নিজের ছায়া ফেলে চু...

টাউনলভ্যভোজ্যঃ হাংগ্রিল। শ্রীমতি ইডলি রসরাজ

ছবি
  টাউনলভ্যভোজ্য হাংগ্রিল শ্রীমতি ইডলি রসরাজ   সন্ধ্যেবেলায় পড়া থেকে বেরিয়েই অদ্ভূতভাবে মেয়ের প্রচন্ড ক্ষিদে পেয়ে যায়। আর চরম কাকতালীয়ভাবে আমারও তখন খুব এটা সেটা খেতে ইচ্ছে করে। আসলে রাত তো। তার অমোঘ আকর্ষণ খন্ডাবে কে? রাত মানেই তো গুলজার। আর গুলজার তো সেই কবেই লিখে দিয়েছেন-দিল তো বাচ্চা হ্যায় জি। দিল যেমন প্রকৃতপ্রস্তাবে সকলেরই বাচ্চা আবার মানুষ তেমনই বেসিকালি ক্যানিবাল। তাই মাংস পোড়ার গন্ধে তার পেটের ভেতর মুখের ভেতর কেমন আশ্চর্য গুড়গুড় শুরু হয়ে যায়। উৎস সন্ধান করে সে তখন দাঁড়িয়ে পড়ে নির্দিষ্ট দোকানটিতে। আমরাও বাবা মেয়ে এভাবেই একদিন মাংস পোড়ার গন্ধে মোহিত হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে ফুটপাথের যে টোটো দোকানটিতে ঢুকলাম তার নাম হাংগ্রিল। নাম এবং বিশেষভাবে ডিজাইন করা টোটোর   মধ্যে তো একটা চমক ছিলোই আর দোকানদারের সাথে আলাপ করতে গিয়ে আরো চমকে গেলাম। এবারে প্রশ্ন হচ্ছে কেন দোকানদারের সাথে আলাপ করতে গেলাম। আমরা কি সাধারণত এমন দোকানদারের সাথে সেধে আলাপ করি? উত্তর খুব স্বাভাবিকভাবেই না। আসলে দোকান, তার মেনুচার্ট, তদারককারি দোকানদারের কথাবার্তা সবই মনে হল একটু আলাদা। তাই কথা হল। অপত্য...

গানের লীলার সেই কিনারেঃ শুভময় ঘোষ

ছবি
 ছবিঃ https://wallpapersafari.com বিশেষ রচনা   পিপুফিশোর ডায়েরি গানের লীলার সেই কিনারে শুভময় ঘোষ     সময়ের স্বল্প ব্যবধানে চারুকলা বিষয়ক দু-দুটি সম্পাদকীয় প্রকাশিত হল 'সান্ধ্য জলপাইগুড়ি'র পৃষ্ঠায়। প্রথমটি, প্রখ্যাত সন্তুরবাদক শ্রদ্ধেয় শিবকুমার শর্মা স্মরণে প্রয়াণলেখ; অন্যটি কবি বিজয় দে রচিত 'মধুবালার বেড়াল' কবিতাগ্রন্থ সম্পর্কে সম্পাদকমশাইয়ের মুগ্ধবোধ। দুটি রচনাই 'স্বাদু স্বাদু পদে পদে'। যদিও সম্পাদকমশাই কিংবা শ্রদ্ধাভাজন শিল্পী অথবা কবিবরের পৃষ্ঠকন্ডুয়ন-এ লেখার উদ্দেশ্য বা বিধেয় কোনোটিই নয়; তবু, শুরুতেই এই শরণাগতির কারণ -- অল্পকালিক ব্যবধানে উঠে আসা ঐ লেখা দুটি পিপুফিশোর মনে যে বোধোদয় ঘটিয়ে দিয়েছে তাতেই এ লেখার আঙটপাত। গৌরচন্দ্রিকা ছেড়ে এবার তবে সরাসরিই বলা যাক। চারুশিল্পের যে সূক্ষ্ম কারুকাজ; ধরা যাক, উচ্চাঙ্গসঙ্গীত বা মার্গসঙ্গীত, চিত্রকলা কিংবা আধুনিক কাব্য-কবিতা --- আমাদের আমজনতার দৈনন্দিন প্রায়োজনিকতার বাইরে এই যে শিল্পের এক বিচিত্র ভুবন --- এর সঙ্গে কীভাবে, কেমন করে সেতু রচনা করতে পারেন জনতা জনার্দন?   বিশেষত, যাঁরা দাঁড়িয়ে আছেন এই শিল্পচর্চার ব...

ছবিতে নারী, নারীর ছবিঃ শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়। দশম পর্ব।

ছবি
ছবিতে নারী এবং নারীর ছবি শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়   দশ   "Impressionism has produced ... not only a new but a very useful way of looking at things." - Morie Bracquenond.   ছবি দুনিয়ায় ত্রিমাত্রিকতা হতে সরে আসার একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছিল। সময়টা ১৮৬৫ থেকে ১৮৮৫। ত্রিমাত্রিকতা হতে সরে দ্বিমাত্রিক বিন্যাসে ছবিকে প্রকাশ করার একটা চেষ্টা ধরা পড়ছিল সমকালীন শিল্পীদের মধ্যে। ক্লদ মোনে ১৮৭২ সালে আঁকলেন অন্তরমুদ্রা সূর্যোদয়। যেখানে সূর্যোদয়ের একটা চিত্রের বদলে মুখ্য হয়ে ধরা দিল সেই সূর্যোদয়ের ইম্প্রেশন অর্থাৎ কেবল দেখায় আর আটকে রইল না। দেখার পাশাপাশি ছবির ক্ষেত্রে যুক্ত হলো মন, মনন, কল্পনা সর্বোপরি স্মৃতি। এই সেই ছবি যার থেকে পুরো দ্বিমাত্রিকতার দিকে ঝুঁকে পড়া একটা প্রতিষ্ঠান বিরোধী আন্দোলনকে নামকরণ করা হলো অন্তরমুদ্রাবাদ বলে। অন্তরমুদ্রাবাদ একটা সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছিল পরবর্তী আর্ট মুভমেন্ট গুলোতে। এই কিছুদিন আগেও ২০১২ সালে প্যারিসে একটি এক্সিবিশন হয়ে গিয়েছে অন্তরমুদ্রাবাদের ওপর। ‘ইম্প্রেশনিজম এবং ফ্যাশন’ শীর্ষক এই প্রদর্শনীটি প্যারিসের Musce d'orsay ...